Monday , 2 December 2024
ব্রেকিং নিউজ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রোকেয়ার প্রেমের শেষ পরিনতি কি লাশ ?

কামরাঙ্গীরচর প্রতিনিধিঃ-
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, ঘাতক শহিদুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ী মুন্সিগঞ্জ এবং ভিকটিম রোকেয়ার গ্রামের বাড়ীও মুন্সিগঞ্জ । খুনি শহিদুল রোকেয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিগত ২৮/০৭/২০১৫ইং তারিখ পরিবারের সম্মতি ব্যতীত জোড়পুর্বক উঠিয়ে এনে বিয়ে করে এবং রোকেয়াকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় হাজী সাত্তারের বাড়ীতে মুন্সিহাটি নদীর পার ৩য় তলায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন। খুনি শহিদুল সব সময় রোকেয়াকে অবহেলা, লাঞ্চনা, শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। খুনি শহিদুল ইসলাম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে এ নির্যাতন করতেন। সে একজন নারী লোভী । ঘটনাস্থলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জন মহিলা বলেন শহিদুলের সাথে সুমি বেগম নামে একজন মহিলার সাথে তার গভীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য আজ রোকেয়া লাশ হয়েছে। বিগত ০৭/১০/২০১৭ইং তারিখ খুনি শহিদুল ইসলাম রোকেয়ার দুই পা গামছা দিয়ে বেঁধে, মাথা ও মুখ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে খুন করে রশি দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। রোকেয়ার মা অসুস্থ নুরুন্নাহার ও তার আত্মীয় সজন থানায় মামলা করতে বললে থানা কর্তৃপক্ষ্য খুনের মামলা না নিয়ে বিবাদীপক্ষ খুনি শহিদুল ইসলামের নিকট হইতে অবৈধভাবে লাভবান হইয়া শুধুমাত্র অপমৃত্যুর মামলা নেয় এবং থানা কর্তৃপক্ষ বলেন আমি আগে ছাত্রলীগ করতাম, আমি কাউকে ভয় পাইনা। এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলাই হবে এবং রোকেয়ার অসুস্থ মা নুরুন্নাহার বেগমের অভিযোগ থানা পুলিশ তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সহি সাক্ষর নিয়েছেন। এব্যপারে রোকেয়ার মা ও তার পরিবার এবং এলাকাবাসী পরিকল্পিত রোকেয়া হত্যার বিচার চায় এবং কেন? খুনের মামলা হলনা এজন্য উক্ত বিষয়ে পুলিশ প্রধান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

About crimenews

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top