নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বিধি বহির্ভূতভাবে জনবল কাঠামোর বাহিরে নিয়োগপ্রাপ্ত নন এমপিও অতিরিক্ত শিক্ষক প্রভাষক খালেদ হোসেন শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সাবেক একজন অভিভাবক সদস্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক ড: কল্যাণী নন্দী তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি অভিযোগসহ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানাতে পারব তবে বিধির বাহিরে কোন কিছুই সম্ভব নয় বিধির বাহিরে নিয়োগ হলে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্ত আরো আগেই পেয়েছিলাম কিন্তু দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি তবে এখন দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।
অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্যের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে তার অভিযোগের দরখাস্তের মাধ্যমে জানা যায়, খালেদ হোসেনের নিয়োগটি প্রতিষ্ঠানে বিধি বহির্ভূতভাবে জনবল কাঠামোর বাইরে পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষক থাকার পরও তার কাছ থেকে আর্থিক ফায়দা নিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে তৎকালীন গভর্নিং বডি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করেন। যা প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ সময়কার রেজুলেশন, তৎকালীন সময়ে শিক্ষক এমপিও তালিকা, কলেজ শাখার শিক্ষক তালিকা, বিষয় অনুমোদন বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যাবে। যেহেতু তার নিয়োগকালীন সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে সেহেতু খালেদ হোসেনের নিয়োগ পরবর্তী সময়ে তার নিয়োগ সম্পর্কে মাউশি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সুস্পষ্ট প্রতিকার/সমাধানসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। তাই তার নিয়োগটি সম্পূর্ণ অবৈধ বলা যায়। তাই তিনি এই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাচনে ভোটাধিকারসহ অংশগ্রহণ করতে পারেনা, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। মাউশি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বিষয়টিকে সমর্থন করেন না বলে অভিযোগকারী তার দরখাস্তে উল্লেখ করেন।