অস্থির রাজনীতি! জটিল পরিণতি !
শুরুটা সম্রাট আকবরকে দিয়েই করি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি যখন দিল্লির সিংহাসনে বসলেন তখন তাঁর রাজ্যের আয়তন প্রায় ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের মতো ৩৫টি ভূখন্ড একত্র করলে হয়তো তাঁর রাজ্যের পরিধির সমান হতো। কিন্তু ১৫২৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি যখন দিল্লির সিংহাসনে বসলেন তখন তাঁর সামনে হিমালয়সম বড় বড় সমস্যা, বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত ও যুদ্ধবিগ্রহ যেভাবে আসতে শুরু করল তার এক হাজার ভাগের এক ভাগ সমস্যাও ২০২৪ সালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা-পরবর্তী সরকারের সামনে আসেনি।
সম্রাট আকবর বয়সে ছিলেন তরুণ। লেখাপড়া তো দূরের কথা, সামান্য অক্ষরজ্ঞান পর্যন্ত ছিল না। ডক্টরেট ডিগ্রি, নোবেল পুরস্কার, বাইডেন-ক্লিনটনের বন্ধুত্ব এবং বিশ্বের পরাশক্তির সমর্থন জাতীয় কোনো সহায়ক শক্তি তো দূরের কথা- উল্টো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, আপন চাচাদের বিদ্রোহ এবং তৎকালীন ভারতের সবচেয়ে ভয়ংকর সেনাপতি হিমুর সঙ্গে পানিপথের যুদ্ধের মতো ভয়ংকর পরিস্থিতি তিনি কীভাবে সামাল দিয়েছিলেন তা ভাবতে গিয়ে আমি বারবার নিজের কাছে নিজেই লজ্জিত হয়ে পড়ছি। সম্রাট আকবর যেটা পেরেছিলেন সেটা আমরা কেন পারছি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো বলবেন, আরে ভাই- দিল্লিতে তো কোনো দিন শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল না। যদি থাকত তবে হাসিনার পলায়ন-পরবর্তী প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা আকবর, নেপোলিয়ন কিংবা জুলিয়াস সিজারের পক্ষেও সম্ভব ছিল না।
অনেকে হয়তো আগ বাড়িয়ে আরও বলার চেষ্টা করবেন যে, আগের জমানার মানুষ কলিকালের মতো দুর্বৃত্ত ছিল না। তারা ডিসি-এসপি হওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা নিয়ে ঘুরত না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করত না। ব্যাংক লুট, শেয়ার মার্কেট লুট এবং বিদেশি রাষ্ট্রের তাঁবেদার-দালাল কিংবা এজেন্টরূপে দেশের মানুষের জীবনজীবিকা নিয়ে রক্তের হোলি খেলত না। লোকজন নিজ নিজ কর্মে ব্যস্ত থাকত এবং রাজকর্মচারীকে খাজনা দেওয়া ইবাদত মনে করত। তারা ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করে রাজা-বাদশাহ, আমির-ওমরাহকে গালাগাল তো দূরের কথা উল্টো রাজার সেবা করার জন্য কায়মনোবাক্যে দশ পায়ে দাঁড়িয়ে থাকত। উল্লিখিত তর্ক-বিতর্ক নিয়ে আমরা যদি আলোচনা চালাতে থাকি তবে আজকের নিবন্ধের পরিধি মহাভারতের পরিধিকে ছাড়িয়ে যাবে, কিন্তু তাতে করে বাংলাদেশের বাজারে ডিমের দাম কমবে না। ইলিশ মাছের ভারত গমন বন্ধ হবে না। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা, পুলিশের কাজে ফেরার সমস্যা কিংবা শেখ হাসিনার টুস করে দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ার আতঙ্ক দূর হবে না। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাগামহীন চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি, বেকারত্ব, সন্ত্রাস, ধর্মীয় উন্মাদনার নামে মাজার ভাঙা ইত্যাদি কুকর্মের দ্বারা দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে যে ভয়-আতঙ্ক শুরু হয়েছে হাজারখানেক নোবেল পুরস্কার- দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার ডক্টরেট ডিগ্রি অথবা বিদেশি বন্ধুদের শত কোটি প্রশংসাসূচক সনদপত্র দ্বারা নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। এসব অরাজকতা দূর করার জন্য সম্রাট আকবরের মতো রাজনৈতিক নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা, সাহস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুপম ক্ষমতা দরকার।
রাজ্য পরিচালনার জন্য আপনার সবচেয়ে বেশি যে যোগ্যতাটির দরকার তা হলো জন্মগত নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা। এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিশেষ গুণাবলি, যা শত চেষ্টা করেও মানুষ অর্জন করতে পারবে না। একটি হরিণ কিংবা শেয়ালকে এক হাজার বছর অক্সফোর্ড হার্ভার্ডে পড়াশোনা করিয়েও যেমন বাঘ কিংবা সিংহ বানানো যাবে না তদ্রূপ যে মানুষকে স্বয়ং আল্লাহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলি দিয়ে পয়দা করেননি তার পেছনে দুনিয়ার সব রথী-মহারথী সিন্দুকভর্তি হীরা-মণি-মুক্তা-জহরত ব্যয় করেও তাকে জনগণের নেতা বানাতে পারবে না। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য আমরা প্রকৃতি থেকে কয়েকটি উদাহরণ দিতে পারি।
প্রথমেই আমরা আকাশে বিচরণশীল প্রাণীর মধ্যে শকুন ও ঈগলের উদাহরণ টানতে পারি। দুটো পাখির শক্তিমত্তা, উড়ার ক্ষমতা এবং আকার-আকৃতি প্রায় সমপর্যায়ের হলেও কেবল দৃষ্টিভঙ্গি, অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে শকুন কোনোকালে ঈগলের স্থান দখল করতে পারেনি- আর ঈগল ক্ষুধার যন্ত্রণায় মারা গেলেও শকুনের মতো মৃত প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে না। ফলে প্রকৃতি সৃষ্টির লক্ষ বছরের ইতিহাসে আকাশের রাজা ঈগলকে নিয়ে মানুষ অনবরত গবেষণা করে চলেছে। অন্যদিকে পৃথিবীর কোনো আহাম্মক কোনোকালে শকুন-শকুনীকে ঈগলের মর্যাদা দেয়নি।
প্রকৃতিতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো মৌমাছি এবং পিঁপড়া। একটি মাত্র রানি মৌমাছি কীভাবে প্রায় ১০ লাখ মৌমাছিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কীভাবে রানি মৌমাছি তৈরি হয় এবং রানির খাবারদাবার, চালচলন, নিয়মকানুন দ্বারা কীভাবে মৌচাক পরিচালিত হয় তা যদি মানুষ জানত তবে কেউ নেতা হওয়ার জন্য লাফালাফি করত না কিংবা যার রাজনৈতিক যোগ্যতা নেই তাকে নেতা বানানোর জন্য মানুষ আবেগের যন্ত্রণায় গড়াগড়ি করে অশ্রু বিসর্জন করত না।
পৃথিবীতে মানুষ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে- মানুষের বিবর্তন-জিনগত গঠন ইত্যাদি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে কিন্তু মানুষের মন, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবহার, আশা-আকাক্সক্ষা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে প্রায় সবকিছুই বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারিত হয়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিছুই নেই। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে রাজনীতি-যুদ্ধনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা নিয়ে যেসব সূত্র রচিত হয়েছে তা কালের বিবর্তনে একটুও পরিবর্তিত হয়নি। মহাভারতের যুদ্ধে যে কারণে পা-বরা বিজয়ী হয়েছিল ঠিক একই কারণে চীনের শি হুয়ানটি বিজয়ী হয়ে চীনের ইতিহাসের প্রথম সম্রাট হতে পেরেছিলেন। আল্লাহর রসুল (সা.) যে কারণে মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ঠিক একই কারণে এবং একই সময়ে এই বাংলায় হর্ষবর্ধন চমৎকার একটি শাসনব্যবস্থা তৈরি করতে পেরেছিলেন। যুদ্ধের ময়দানে মহাবীর হানিবলের যে কৌশল ছিল ঠিক একই কৌশল আলেকজান্ডার, জুলিয়াস সিজার, নেপোলিয়ন বোনাপাট ব্যবহার করেছিলেন। অনুরূপভাবে আব্বাসীয় খলিফা আল মুনসুর, অটোমান সুলতান সুলায়মান এবং মুঘল সম্রাট আকবরের রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।
আমরা যদি উল্টো ইতিহাস পর্যালোচনা করি তবে দেখতে পাব, মীরজাফর, মোশতাক কিংবা ১-১১’র মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের ব্যর্থতার কারণ, প্রেক্ষাপট এবং ফলাফল প্রায় একই ধরনের। কারণ এসব লোকের মধ্যে প্রকৃতি প্রদত্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল না। এরা সবাই বহিরাগত কিছু অরাজনৈতিক শক্তির প্ররোচনায় নেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পর তারা যেভাবে একের পর এক অনাসৃষ্টি তৈরি করেছিলেন যা কি না তাদের ইতিহাসের কুখ্যাত মানুষে পরিণত করেছে। তাদের ব্যর্থতা এবং সম্রাট আকবরের সফলতার কারণ জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানব চরিত্রের তিনটি ধাপ সম্পর্কে জানতে হবে। মানুষের মধ্যে বেশির ভাগ অংশই জন্ম নেয় শুধু মরে যাওয়ার জন্য আর এসব মানুষ মরে যাওয়ার পর মনে হয় ওই নামে পৃথিবীতে কোনো মানুষই ছিল না। এরা বেঁচে থাকে কেবল খাওয়া-শোয়া, ভোগ-বিলাস, অর্থ উপার্জন, সঞ্চয় ও কৃপণতা করার জন্য। এরা নিজেদের স্বার্থের বাইরে কোনো কিছু করে না এবং স্বার্থ হাসিলের জন্য দুনিয়ার নিকৃষ্ট কুকর্ম করতে এরা পিছপা হয় না। এদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য এরা তামাম দুনিয়া জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে। এ শ্রেণির মানুষকে ইংরেজিতে বলা হয়- ‘পিউপিল লাইক ভেজিটেবল’।
সবজির মতো মানুষকে আমরা আমজনতা বলি। এসব মানুষ ভালো আচরণ করে কেবল কঠোর অনুশাসনের কারণে। দ্বিতীয়ত, সুযোগ-সুবিধার অভাবের কারণে অনেকে সাধু সন্ন্যাসী হয়ে যায়। কিন্তু নিজের অভিলাষ পূর্ণ করার সামান্য সুযোগ পাওয়া মাত্র এরা সে লঙ্কাকান্ড ঘটায় তা দমন করার জন্য সম্রাট আকবরের মতো যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
মানুষের দ্বিতীয় স্তরটি তৈরি হয় শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানার্জন-দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। এই স্তরের সফল মানুষের মধ্যে কোনো প্রকৃতি প্রদত্ত নেতৃত্বের গুণাবলি না থাকা সত্ত্বেও তারা কেবল জ্ঞান-গরিমা, দক্ষতা-অভিজ্ঞতার কারণে পরিবার ও সমাজে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং রাজনৈতিক নেতার পরামর্শক হিসেবে সফলতা দেখাতে পারে। এদের মধ্য থেকেই তৈরি হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃত্ব- যারা কি না রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নিজ নিজ কর্মের চরম উৎকর্ষ ঘটাতে পারে। চিকিৎসক-বিজ্ঞানী, আমলা-কামলা এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত।
উল্লিখিত দুটি স্তরের মানুষের ওপর যারা সত্যিকার অর্থেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেন তারাই হলেন সম্রাট আকবরের মতো প্রকৃতি প্রদত্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ। এই শ্রেণির মানুষের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা তারা নিজেদের দুর্বল ও সক্ষমতা বুঝতে পারেন। তারা যে কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপখাওয়াতে পারেন এবং নিজের কাছে থাকা সবকিছু তা হোক ধনসম্পদ কিংবা জ্ঞান-গরিমা তা অকৃপণভাবে বিলিয়ে দিতে পারেন শত্রু-মিত্র, আপন-পর সবার মাঝে। আবার নিজের দুর্বলতা দূর করার জন্য তারা প্রয়োজনে ভিক্ষুকের মতো হাত পাততে পারেন। ক্ষুধার্তের মতো চিৎকার করতে পারেন কিংবা নতজানু হয়ে জ্ঞানী-গুণী-দার্শনিকদের কাছে ধরনা দিতে পারেন। দেশ ও দশের প্রয়োজনে তারা সব ইগো বিসর্জন দিতে পারেন।
রাজনৈতিক নেতার জন্য অক্ষরজ্ঞান অপরিহার্য নয়। তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা তিনি রত্ন চিনতে পারেন এবং রত্নরূপী মানুষকে যে কোনো মূল্যে তার রাজ্যে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকেন। তার মন ও মস্তিষ্ক মানবের উদ্ভাবনী ক্ষমতা শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগীত, নৃত্যকলা ইত্যাদির পৃষ্ঠপোষকতার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। ফলে সম্রাট আকবরের দরবারে আমরা যেমন ৯ জন শ্রেষ্ঠতর জ্ঞানী-গুণী পন্ডিতকে দেখতে পাই তদ্রূপ বাদশাহ হারুন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য, কুমার গুপ্ত, কুশান রাজ কনিস্ক থেকে শুরু করে রোমান সম্রাট মার্কাস অলিয়াসের রাজদরবারে নবরতেœর দেখা পাই।
সম্রাট আকবরের মতো মহামানববৃন্দ প্রয়োজনে কঠোর হন, যুদ্ধ করেন এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে নিজের পুত্রকে হত্যার নির্দেশ দেন। নারী প্রেম, সম্পদ প্রেম, গোত্র প্রেমে কিংবা অন্ধবিশ্বাস অথবা আপনজনের পরামর্শ-কুমন্ত্রণা তাদের প্রভাবিত করতে পারে না। তাদের থাকে একটি সংবেদনশীল মন, দৃঢ়চিত্ত উর্বর মস্তিষ্ক এবং একটি যুদ্ধ করার মতো উপযুক্ত শরীর। তাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর তালিকায় সবার ওপরে থাকেন দার্শনিকবৃন্দ। তাদের প্রিয়জনের মধ্যে থাকেন যুগশ্রেষ্ঠ সংগীতজ্ঞ-নৃত্যকলা, শিল্পকলা-চিত্রকলা বিশারদ। তারা উচ্ছল ও প্রাণবন্ত সঙ্গী-সাথী নিয়ে চলাফেরা করেন এবং তাদের রাজদরবার সর্বদা কোলাহলে পরিপূর্ণ থাকে।
আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। চলমান বাংলাদেশের সীমাহীন সমস্যা, অন্তহীন অস্থিরতা, অনির্ধারিত গন্তব্য এবং লাগামহীন অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের শাসন ক্ষমতায় অবশ্যই রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন লোকের বিকল্প নেই। আমরা যদি ভুল করি, আবেগতাড়িত হই অথবা অপেক্ষা করি তবে আমাদের জাতীয় জীবনে অতীতে যা হয়েছে- এবারও তাই হবে এবং সেটাই প্রকৃতির অনিবার্য পরিণতি।
লেখকঃ গোলাম মাওলা রনি, সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।