লালমাই উপজেলার সবুজ মিয়া বিএনপিতে যোগদানের পায়তারা !!!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াস হোসাইন ওরফে সবুজ মিয়া (৩৩) মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএনপিতে যোগদানের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। সবুজ মিয়া কে বিএনপিতে যিনি নিতে চান তিনি হলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরী। মনিরুল হক চৌধুরী এর পর স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের কুমিল্লা ৯ সংসদীয় আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদান করে বিএনপির এমপি হন। বর্তমানে সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনিরুল হক চৌধুরী রয়েছে।
মনিরুল হক চৌধুরীর এলাকায় জনসমর্থন কম থাকায় এখন সবুজ মিয়াকে ব্যবহার করে নিয়ে জনসমর্থন প্রয়োজন। সবুজ মিয়ার কাছে অবৈধ অস্ত্রের বিশাল মজুদ রয়েছে। জুলাইয়ে ছাত্র জনতার উপর গুলি করারও অভিযোগ রয়েছে। চলমান অভিযানে যৌথ বাহিনী কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা আদালত অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সাজা দিয়েছে। সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, ইং ৯/৮/২০২৩খ্রিঃ। তবে সবুজ এখন জামিনে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সবুজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজত্ব কায়েম করছে। সবুজ বিরোধী দলের ছাত্রদের মারধর ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের হুমকি ধামকি নির্যাতন নিপিড়ন হামলা মামলা শিকার হয়ে কেউ কেউ এলাকা ছাড়া হয়েছেন। এমনকি মাসুদ আলী আযম নামে এক সাংবাদিক নির্যাতনে হামলা মামলায় জর্জরিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্য, পরিবহন ব্যবসা, হলে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত সবুজ। নির্বাচনে কুমিল্লা জেলায় কেন্দ্র দখল করা ছিল সবুজ মিয়ার নতুন বানিজ্য, যা বিগত ১৬ বছর সবুজ মিয়া করে আসছে। আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে সবুজ মিয়ার গডফাদার আ হ ম মুস্তফা কামাল সিঙ্গাপুর পালিয়ে গেলেও সবুজ পালিয়ে যায়নি।
সবুজ মিয়া লালমাই উপজেলার বদরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন এর ছেলে। কুমিল্লাবাসীর দাবি সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও বিএনপির হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়ে দ্রুত সম্ভব দলের সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি নয়তো কুমিল্লা বিএনপির রাজনীতিতে গ্রুপ সৃষ্টি সহ বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাবে।