মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম:
গতকাল ভুক্তভোগী ও নির্যাতিত ও নিহত আলোর পরিবারের লোকজন ও তার মা হোসরে আরা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়। বিগত ২৪/১২/২০১২ ইং তারিখ তিনি তাহার বাসা ২৮১ নং পশ্চিম রামপুরা ঢাকা হইতে মামলা সংক্রান্ত বেপারে ঢাকা জজকোর্ট গিয়ে ছিলেন। তাহার আরেক মেয়ে ইফাত আরা ইভা কলেজে ছিলেন। তাহার ছেলেরা বাসায় ছিল না। তাই শত্রু পক্ষ বাসা খালি পেয়ে আলোকে খুন করে তাহার লাশ ঘরের সিলিং প্যানের সাথে জুলিয়ে রেখে ছিল। নিহত আলোর মা হোসনে আরা বেগম কে জিজ্ঞাসা করা হলো কি বিষয়ে আপনার মেয়ে খুন হয়েছিল। তখন তিনি কান্না জরিত কন্ঠে বলেন বাড়ীর কিছু অংশ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার মেয়ে আলোকে হত্যা করে। বিজ্ঞ সি. এম. এম আদালত ঢাকা- সি আর মামলা নং ৪/১৪ আসামী ১। সালমা আক্তার ২। শাহ আলম ৩। শরিফুল ইসলাম ৪। আঞ্জুমান আরা হাসী ৫। স্বাধীন ৬। খোকন, তাহারা সকলে মিলে আমার মেয়ে আলোকে খুন করে। হোসনে আরা বেগম কে জিজ্ঞাস করা হলো থানায় মামলা করেন নি কেন। তিনি বলেন আমি কিছুই জানি না আমি আলোর লাশ দেখে অজ্ঞান ছিলাম আমার ভাই ফজলুর রহমান আলোর লাশ ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যায়। এবং তিনি বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি অপ-মৃত্যুর মামলা দায়ের করেন অপ-মৃত্যুর মামলা নং- ৩০ তারিখ ২৪/১২/২০১২ ইং। সি আর মামলা ৪/১৪ কোটে দাখিল এর পর বিজ্ঞ আদালত রামপুরা থানা সহ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, কে তদন্ত ভার দেন কিন্তু কোন সংস্থাই আজ পর্যন্ত আমার মেয়ে আলো হত্যার খুনের আসামীকে চিহ্নিত ও রহস্য উদ ঘাটন করতে পারে নাই। আমি কি পাব না স্বাধীন এই দেশে আমার মেয়ে আলো হত্যার খুনের বিচার। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি যদি আপনার বাবার বিচার ২১ বছর পর করতে পারেন তাহলে আমিও আপনার নিকট আলো হত্যার খুনের বিচার চাই। এছাড়া তিনি কান্না জরিত কন্ঠে বলেন মাননীয় স¦রাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননী সংসদ বৃন্দ, পুলিশের আই জিপি মহোদয়ের নিকট হোসনে আরা বেগম আলো হত্যার ন্যায় বিচার চায়। মামলাটি বর্তমানে পিবি আই এ তদন্তাধীন রয়েছে তাই তিনি আজ ন্যায় বিচারের আসায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতিকে জানানোর জন্য সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়েছেন।