নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) পরিচালনা পর্যদের তিন সদস্যসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ মঞ্জুরি কমিশনকে বিষয়গুলো তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ওই অভিযোগপত্রে কয়েকজন পরিচালকের ব্যাপারে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই পরিচালকরা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কয়েকজন সদস্যের যোগসাজশে অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউজিসিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- ‘নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ : উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি ও তৎসংলগ্নী এ সঙ্গে প্রেরণ করা হল। পত্রে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাঠানো অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন পরিচালকসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘গলাকাটা’ টিউশন ফি আদায়, জমি ক্রয়ে অর্থ আত্মসাৎ, পরিচালনা পর্যদ সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ অনিয়ম দুর্নীতি করে এমন কোন তথ্য জানা নেই। আর তদন্তের বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না। যদি ইউজিসি তদন্ত করতে চায় তবে আমাদের কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো চিঠি এখন পর্যন্ত আমার হাতে আসেনি। আমরা তদন্ত নির্দেশনা পেলে তা খতিয়ে দেখবো। তিনি বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে এর আগে একাধিক তদন্তে আমরা নানান অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, আইন বহির্ভূত বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা, বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমি কেনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা খরচ করে দেশের বাইরে বিওটির সভা করাসহ নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।