সিমলাসিমলাচট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় নিহত পলাশ আহমেদের বিষয়ে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা সিমলা। সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি পলাশের সঙ্গে বিয়ে ও বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেন। সিমলা বলেন, দেশের স্বার্থে তিনি এখন যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত।
ওই ভিডিওতে সিমলা জানান, এক পরিচালকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পলাশের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। এরপর গত বছরের ৩ মার্চ তাঁরা বিয়ে করেন। চার মাস আগে তিনি পলাশকে ডিভোর্সও দিয়েছেন।
বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে সিমলা বলেন, সমস্যা ছিল বলেই ডিভোর্স করেছি। এর মধ্য মানসিক সমস্যাটা একটা মূল কারণ। পলাশকে তিনি কি হিসেবে চিনেন—এ প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, আমি তাঁকে একজন প্রোডিউসার হিসেবে চিনি।
ওই ভিডিওতে সিমলা জানান, তিনি চট্টগ্রামের বিমান ছিনতাই চেষ্টা ও পলাশের নিহত হওয়ার ঘটনার সবই শুনেছেন। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এখন আমার কি করণীয়। যেহেতু তাঁর সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।
সিমলা আরও বলেন, দেশের স্বার্থে এই ঘটনায় তাঁকে যদি কোনো কিছু করতে হয়, তিনি তাই করবেন। তিনি বলেন, ‘এবনরমালি করুক আর যেভাবেই করুক, পলাশ যা করেছে তা শোভনীয় নয়। এটা আমার দেশের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। সে ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থে যদি কোথাও আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বা কোনো কিছু ফেইস করতে হয়—আই অ্যাম রেডি, নো প্রবলেম। এখানে আমার ঢাকার কিছু নেই।’
পলাশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার পিরিজপুরে। নিহত পলাশের বাবা পিয়ার জাহান বলেন, গত কোরবানি ঈদের এক মাস আগে এবং এরপর এক সপ্তাহ আগে দুই দফায় পলাশ বাড়ি গিয়েছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে চলচ্চিত্র নায়িকা সিমলা ছিলেন। তাঁর ভাষ্য, পলাশ তাঁকে জানান, সিমলাকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে পলাশের এই বিয়েতে পরিবারের প্রবল আপত্তি ছিল। এ কারণে যেদিন এসেছিলেন, ওই দিনই সিমলা ও পলাশ ঢাকায় চলে যান।
ছেলের ব্যাপারে এসব বক্তব্য দিতে গিয়ে পিয়ার জাহান বলেন, ‘ছেলে বেয়াড়া ছিল। কী করত, কোথায় থাকত, তা জানতাম না।’ সর্বশেষ একটানা ১৫ দিন বাড়ি ছিল পলাশ। দুবাই যাবেন বলে গত শুক্রবার বাড়ি ছেড়ে যান।