শিরীন আক্তার ॥
কামরাঙ্গীরচরে সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, জৈনক ব্যক্তি মোঃ বাবুল হোসেন তাহার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মায়া তাদের ২ কন্যা সন্তান নিয়ে বড়গ্রাম এর স্থায়ী বাসিন্দা। বাবুলের মামা মোঃ শহীদুল ইসলাম পিতা- আঃ হাই বড় গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। এই সুবাদে বাবুলের বাসায় আসা যাওয়া ছিল, ফলে বাবুলের স্ত্রী শহীদুল ইসলামের সম্পর্কে ভাগ্নি মর্জিনার সহিত তাহার গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। শহীদুল ইসলামের স্ত্রী সুলতানা, ৩টি মেয়ে ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিগত ২০/০৮/২০১৭ইং তারিখ শহীদুল ইসলাম, তাহার ভাগ্নি মর্জিনাকে নিয়ে পালিয়ে উধাও হয়েছে। মর্জিনা তাহার স্বামীর নগদ একলক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে এবং দামী কাপড় নিয়ে শহীদুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়। মর্জিনা তাহার ২ কন্যা সন্তানকে তাহার বাবার বাড়িতে ফেলে যায়। শহীদুল ইসলাম মর্জিনাকে দিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় ২২/০৮/২০১৭ইং তারিখে তাহার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে পত্রিকায় প্রকাশ করেন এবং মেডিকেলের চিকিৎসাপত্র যোগাড় করে তাহার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। মর্জিনার স্বামীকে সাবেক স্বামী বলে উল্লেখ করেন। শহীদুলের স্ত্রী সুলতানা সাক্ষাতকালে বলেন, এই শহীদুল ইসলাম তাহার পূর্বের স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন এবং একাধিক মেয়ের সংসার জীবন নষ্ট করেছেন এবং আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছেন। স্ত্রী-ছেলে সন্তানদের কোন ভরন পোষন দেয় না। সমাজের কিছু দু®কৃতিকারী পুরুষ ও মহিলাদের সহায়তায় শহিদুল ও মর্জিনা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনের নিকট থেকে কোন সহযোগীতা পাইনি। অন্যদিকে বাবুল বলেন শহীদুল ইসলাম যে কাজ করেছেন, এখন আমাদের উভয় পরিবারের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এ ব্যাপারে উভয় পরিবারের আকাঙ্খা শহিদুল ইসলাম ও মর্জিনাকে আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি প্রদানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং বাবুল ও সুলতানাকে আইনী প্রক্রিয়ার কথা জিজ্ঞেস করিলে তারা বলেন, প্রয়োজনে আমরা আদালতের সম্মুখীন হবো।